বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ২২ অক্টোবর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের ঘোষণার পরিপেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার। যাদের পেছনে জনগণের সমর্থনই নাই, একটা গণধিকৃত দল। এরা বিভিন্ন সময় অন্যের অবলম্বন হয়ে চলে। এসব পরগাছা গণধিকৃত রাজনৈতিক দলের কী কর্মসূচি আছে না আছে সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো ইচ্ছে আওয়ামী লীগের  নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের সামনে কৃষকলীগের সম্মেলনে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব-উল-আলম হানিফ এসব কথা বলেন।

মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘আসলে আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি জামায়াত সেইসঙ্গে কিছু জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদ একটা ইস্যু নিয়ে নোংরা রাজনীতি করতে চায়। তারা ভাবছে এসব নিয়ে হয়তো সরকারকে বিপদে ফেলতে পারবে। আমরা আগেই বলেছি, এটা নিয়ে রাজনীতি করে কোনো লাভ হবে না। আবরারের বাবা-মা বলেছেন তাদের ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চান এবং তারা এটাও বলেছেন যে, তাঁর ছেলের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো নোংরা রাজনীতি তিনি দেখতে চান না। আবরারের বাবা যখন এ ধরনের নোংরা রাজনীতি দেখতে চান না, তারপরও যারা এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তথাকথিত প্রতিবাদের নাম করে রাজনীতি করতে চান তাহলে বলতে হয় এটা নোংরা রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।’

এমপি হানিফ আরো বলেন, ‘গণফেরারামের নেতা যিনি আজকে মানবতার কথা বলছেন তাঁর কন্যা-জামাতা যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য তৎপরতা চালিয়েছে। সেটা দেশবাসী ভোলে নাই। যাঁর সন্তান ও জামাতা অশুভ শক্তির পাশে দাঁড়ায় তাদের প্রতি জনগণের বা দেশের মানুষের কোনো আস্থা থাকার কথা নয়।’

কৃষকলীগের এ সম্মেলনে কুষ্টিয়া ৪ আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া ১ আসনের সাংসদ আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সভাপতি মো. মোতাহার  হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজাসহ জেলা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।