মাগুরায় অভিযুক্ত বাসচালককে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নিহতের পরিবার

Looks like you've blocked notifications!
​মাগুরায় তাদের সঙ্গে কথা না অভিযুক্ত বাসচালককে ছেড়ে দেওয়ায় অভিযোগ করেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আরজিনার স্বামী মিজানুর রহমান। ছবি : এনটিভি

মাগুরায় গত ১১ অক্টোবর সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের কোনো মতামত ছাড়াই পুলিশ তড়িঘড়ি করে মামলা করেছে। শুধু তাই নয়, মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে পুলিশের সহযোগিতায় জামিন পেয়েছে ঘাতক বাসচালক। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জব্দ করা বাসটিও।

বাসের ধাক্কায় নিহত আরজিনা বেগমের (৪৫) স্বামী গণফোরাম খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান আজ শনিবার মাগুরা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন।

গত ১১ অক্টোবর দুপুরে মোটরসাইকেলে মাগুরা শহর থেকে সদরের শ্রীরামপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন আরজিনা বেগম। পথে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের আবালপুর এলাকায় ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী আরজিনা বেগম ও ভগ্নিপতি পিকুল মোল্যা নিহত হন।

মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রী ও ভগ্নিপতিকে হারিয়ে আমার গোটা পরিবার যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সেই সুযোগে হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা না করেই একই দিন রাত ৯টায় এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। সেইসঙ্গে মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে আদালতের মাধ্যমে বাসটি মুক্ত করে দেয়।

মিজানুর রহমান আরো অভিযোগ করেন, সাধারণত দুর্ঘটনা কবলিত কোনো বাস আটক হলে সংশ্লিষ্ট থানায় পুলিশের প্রতিবেদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান প্রতিবেদন না দিয়ে বিআরটিএ থেকে প্রতিবেদন নিয়ে আদালতে জমা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার ঘাতক বাসের চালককে বাসসহ মুক্ত করে দেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ও ঘাতক বাসচালক মিজানুরের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার মুক্তিপাড়ায়। এ কারণে  তিনি এ বিষয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি অভিযোগ করেন।

হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরির্দশক (এএসআই) সমীর নন্দী বাদী হয়ে মাগুরা থানায় করা এ সংক্রান্ত মামলায় নিহতের পরিবার যোগাযোগ করেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করেন মিজানুর রহমান।

মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণত দাফন সম্পন্ন করে ন্যূনতম একটু সময় লাগে। কিন্তু আমি আমার স্ত্রী ও ভগ্নিপতির দাফন সম্পন্ন করেছি রাত ১০টায়। তার আগেই পুলিশ কীভাবে বলে নিহতের পরিবার যোগাযোগ করেনি।’

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান বলেন, ‘নিহতের পরিবার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। জামিন পাওয়া না পাওয়া আদালতের বিষয়। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।