আশুগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে ৫০ হাজার মিটার জাল জব্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট ও বেড়ি জাল জব্ধ করে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আজ সোমবার দুপুরে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব জাল জব্দ করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, গত ৮ অক্টোবর থেকে ২২ দিনব্যাপী সারা দেশে নদীতে ইলিশ মাছ শিকার, বহন ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ করে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিষিদ্ধ কারেন্ট এবং বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার খবর পায় মৎস্য বিভাগ। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিমুল হায়দারের নেতৃত্বে রোববার সকাল থেকে মেঘনা নদীর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু থেকে উপজেলার লালপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫০ হাজার কারেন্ট এবং বেড়ি জাল জব্ধ করে। এরপর নতুন ফেরিঘাটে নিয়ে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দারের উপস্থিতিতে জালগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছাম্মাৎ রৌনক জাহান বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় অভিযান পরিচালনা করে ৫০ হাজার মিটার জাল জব্ধ করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ধংস করা হয়েছে।’
মৎস্য কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। তবে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও যারা আইন অমান্য করে মাছ শিকার করবে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’