আবরার ফাহাদ হত্যা

নাজমুস সাদাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

Looks like you've blocked notifications!
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ১৫ নম্বর আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতকে গত ১৬ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ছবি : ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ১৫ নম্বর আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারির আদালতে আসামি সাদাত এ স্বীকারোক্তি দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। সে আবেদনের পর বিচারক আসামি সাদাতকে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। পরে আসামি স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হলে বিচারক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে তাঁর ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১২ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এ পর্যন্ত মোট সাতজন জবানবন্দি দিয়েছেন। এঁরা হলেন মামলার ৫ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ৭ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ৩ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ৯ নম্বর আসামি মুজাহিদুর রহমান, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও মামলার ৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান রবিন, ৬ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাহিত্য সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির, ১০ নম্বর আসামি খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও ১৫ নম্বর আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাত।