চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চিকিৎসক শাহ আলম। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চিকিৎসক শাহ আলম হত্যা মামলার আসামি নজির আহমদ সুমন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান দাবি করেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে ডা. শাহ আলম হত্যা মামলার এক আসামি বাসচালক ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ফারুকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোররাতে এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নজির আহমদ সুমনকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় র‍্যাবের ওপর গুলি চালানো হয়। র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালালে সুমন নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি অস্ত্র ও ২৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলার নিজ গ্রামে অসহায় মানুষের সেবা করে প্রতিদিনের মতো গত ১৭ অক্টোবর শহরে ফিরছিলেন ডা. শাহ আলম। যাত্রী পরিবহনের কথা বলে ছোট কুমিরা থেকে মনসুর পরিবহনে শহরে আসার পথে চালক মো. ফারুকসহ আরো কয়েকজন সহযোগী তাঁর সর্বস্ব ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।

এ সময় বাধা দিলে ছুরিকাঘাত করে কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় লাশ ফেলে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় র‍্যাবের হাতে আটক প্রধান আসামি ফারুক গতকাল বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

অর্থবিত্ত আর সম্মান পেছনে ফেলে দীর্ঘ ২০ বছর পর দেশে ফিরে এসে গ্রামের মানুষের সেবায় মনোযোগী হয়েছিলেন চিকিৎসক শাহ আলম। স্থানীয়রা তাঁকে ‘গরিবের ডাক্তার’ বলে উল্লেখ করে থাকেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল বাকি জীবন গ্রামের অসহায় মানুষের সেবা করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন সত্যি হতে দেয়নি ঘাতকরা।

অত্যন্ত ঠাণ্ডা ও শান্ত প্রকৃতির ডা. শাহ আলম সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালে শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিজ এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মদিনার চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে কুমিরার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিশু সেবা ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।