এবার পদ হারালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি

Looks like you've blocked notifications!
সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ থেকে মোল্লা আবু কাওসারকে সরিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসাসহ নানা অপরাধে নেতাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, আলোচনা-সমালোচনা ও গ্রেপ্তারের মধ্যেই এবার সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ থেকে মোল্লা আবু কাওসারকে সরিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সরকারপ্রধানের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার বলেন, ‘আমি অলরেডি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। নেত্রীর নির্দেশনা আমি তাঁকে জানিয়েছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদ থেকে নেত্রী তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’

এর আগে পদ হারানো যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ভাগ্যই বরণ করতে হলো মোল্লা আবু কাওসারকে। এ ছাড়া ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মুখে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, তাঁর সহযোগী একই কমিটির সহসভাপতি আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ঠিকাদার জি কে শামীম। ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসার পর থেকেই পলাতক আছেন মোল্লা কাওসার। দুর্নীতি, ভূমি দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ও হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান।

এ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার মধ্যেই আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডি হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। এ সময় মন্ত্রী অন্যান্য বিষয় নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নিজের ঘরের লোকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সাহস একমাত্র শেখ হাসিনাই দেখিয়েছেন। যারাই অভিযুক্ত হবে দুনীতি, চাঁদাবাজি, মাদকের সঙ্গে থাকবে, কেউই ছাড় পাবেন না। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারাও নজরদারিতে আছেন।’

‘এ অভিযান নিয়ে বিরোধী দল বিষোদগার করছে। কারণ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার জন্য। তাঁরা জানেন, এখন শত চেষ্টা করেও জনগণের সাড়া পাবেন না। তাই তাঁরা আজ ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন।’

ভোলার বোরহানউদ্দিনের মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় কেউ কেউ ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা হচ্ছে।’

‘ভোলার ঘটনায় কেউ পার পাবে না, দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। বুয়েট আবরার হত্যারও বিচার হবে,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা।