ডা. ওমর ফারুকের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ডা. মুহাম্মাদ ওমর ফারুকের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৪ অক্টোবর। ২০০৯ সালের এ দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবায় যারা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ও আলোচিত হয়েছেন, তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। নব্বই দশকে বাংলাদেশে গরিব ও দুঃখী মানুষের জন্য উন্নত চিকিৎসার স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। সব পেশার মানুষের কাছে ছিলেন চিরচেনা মুখ। এই বুদ্ধিদীপ্ত মানুষটি জন্মে ছিলেন ১৯৬২ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী গ্রামে।
ডা. ওমর ফারুক ১৯৮৯ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর তিনি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের প্রথম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এই হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে তিনি বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়ে ছিলেন। চিকিৎসাসেবায় তাঁর কর্মসূচিগুলো ছিল কাউকে কোনো রেফারেল ফি বা কমিশন দেওয়া যাবে না, সেবার নামে কোনো ধরনের দুর্নীতি করার সুযোগ থাকবে না, গরিব রোগীদের স্বল্প মূল্যে অপারেশনের ব্যবস্থা করা, গর্ভবতী মায়েদের বাচ্চা ভূমিষ্ঠের সময় সর্বত্তোম সেবা প্রদান। এসব কর্মসূচি তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাস্তবায়ন করেছেন।
ডা. ওমর ফারুক শুধু একটি নাম নয় একটি প্রতিষ্ঠান, একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি বলতেন, মেধাকে সংকুচিত করে নয় তা প্রসারিত করে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে। যার ধারাবাহিকতায় তিনি নিজ হাতে গড়ে তুলে ছিলেন প্রায় ১৮টি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দি বারাকাহ ফাউন্ডেশন, দি বারাকাহ কিডনি হাসপাতাল, বারাকাহ জেনারেল হাসপাতাল, ইনসাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বারাকাহ হাসপাতাল চাটখিল, বারাকাহ হাসপাতাল পাকুন্দিয়া, ডেলটা ফার্মা লিমিটেড, আপন এন্টারপ্রাইজ, অ্যালাইড হেলথ কেয়ার লিমিটেড, শিকড় ইন্টারন্যাল স্কুল।