‘রোহিঙ্গাদের শরণার্থী জীবনের অবসান হওয়া উচিত’
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে নিউইয়র্কের স্টেট সিনেটররা বলেছেন, বাংলাদেশ এতগুলো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে যে মানবতা দেখিয়েছে, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এখন তাদের মানবিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের শরণার্থী জীবনের অবসান হওয়া উচিত। রোহিঙ্গারা নিজেদের ভূমিতে ফিরতে চাইলেও এখন ফিরে যেতে পারছে না, এটা খুবই দুঃখজনক। রোহিঙ্গাদের নিজেদের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশ্বব্যাপী সবাই রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানে। আমরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসেছি এবং রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন নিউইয়র্কের পাঁচ স্টেট সিনেটর। নিউইয়র্কের স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের খোঁজ খবর নেয়।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে সংঘটিত ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন সিনেটরদের সামনে।
সফরকারী অন্য সিনেটররা হচ্ছেন স্টেট সিনেটর জেমস স্কুফিস, লিরয় কমরি, জন ল্যু ও কেভিন এ পার্কার।
গতকাল বুধবার দুপুরে কক্সবাজার পৌঁছে সন্ধ্যায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রতিনিধিদল। আজ বৃহস্পতিবার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার ত্যাগ করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিথি হিসেবে স্টেট সিনেটররা বাংলাদেশ সফর করেছেন।
সফরের শুরুতেই বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি এবং জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে প্রতিনিধি দলটি।