ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হামলায় বৃদ্ধা নিহত
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হামলায় ফাতেমা বেগম নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ছয়জন আহত হয়েছেন। গত বুধবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার ওই বৃদ্ধা মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলের তিন চাচাশ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন শাহজাহান (৪৬), সাবিনা (২২), সুফল (২৪), সাহিদ (১২), দেলোয়ারা বেগম (৫২) ও লিমা (২৪)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উপজেলার কবিলপুর ই্উনিয়নের মহিদীপুর গ্রামের রুবেলের সঙ্গে একই এলাকার খাজু মিয়ার মেয়ে মনির বিয়ে হয় সাত বছর আগে। এরপর থেকে তারা চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় কয়েকদিন আগে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। গত বুধবার সকালে মনি চট্টগ্রাম থেকে বাবার বাড়িতে এসে বিষয়টি তার চাচাদের জানান। ওই দিন দুপুর ২টার দিকে তার চাচারা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বামী রুবেলের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে। এতে রুবেলের মা বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমসহ সাতজন আহত হন।
আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। জখম গুরুতর হওয়ায় বৃদ্ধা ফাতেমাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল বৃদ্ধা ফাতেমার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের নাতি সুফল মিয়া বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ সেনবাগ উপজেলা শ্রামিক লীগ সভাপতি জাফর আহম্মেদসহ শাহজাহান ও ঝানু নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।’