আশুলিয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দখল-লুটপাটের মামলা
ঢাকার আশুলিয়ায় এবার দোকান ভাঙচুর করে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট ও মার্কেট দখল করার অভিযোগে যুবলীগ নেতা মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ ১৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে আশুলিয়া থানায় এমএ খান মার্কেটের মালিক আলমগীর খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও ধামসোনা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ২১ অক্টোবর রাতে মাকসুদা বেগম নামের এক নারীর মালিকানাধীন মার্কেট দখলের অভিযোগে যুবলীগ নেতা মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন সকালে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাইপাইল এলাকায় ৩৯ শতাংশ জমি কিনে এম এ খান নামে একটি মার্কেট তৈরি করে কাঁচামালের আড়ৎ হিসেবে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন জমির মালিক আলমগীর খান। কয়েক মাস ধরে ওই যুবলীগ নেতা তার লোকজন নিয়ে ওই মার্কেট দখল করার পাঁয়তারা করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে মার্কেটের আড়তদারদের মারধর করে তাদের মালামাল লুটপাটও করেন। একপর্যায়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই যুবলীগ নেতা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাহিনী নিয়ে এসে ওই মার্কেটে হামলা চালান। এ সময় আড়তদারদের মারধর করে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করেন।
পরে এ ঘটনায় মার্কেটের মালিক আলমগীর খান বাদী হয়ে গত রোববার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
আশুলিয়ার যুবলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রায় দুই বছর আগে যুবলীগের কমিটি নিয়ে আসার পর থেকেই মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়া বেপরোয়া হয়ে উঠেন। আশুলিয়া এলাকায় একাধিক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে আশুলিয়া থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। এ ছাড়া আশুলিয়ার গাজীচর এলাকায় এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একটি পুকুর দখল করে মাছ বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘লুটপাট, ভাঙচুর ও মার্কেট দখলের চেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতা মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ চারজনের নামে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।’