খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২ ডিসেম্বর
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার এডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁর পক্ষের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাকিমের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারায় একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
পরে মামলাটি শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত মামলাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শাহবাগ থানার একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরে গত বছরের ৩০ জুন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। এরপর এ বছরের ২০ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরে এ বছরের ১৮ জুন হাইকোর্ট থেকে খালেদা জিয়া জামিন দেন।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের কটূক্তিপূর্ণ সমালোচনা করেন। বক্তৃতার একপর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’