বিশ্ববিদ্যালয়কে জরিমানার টাকা যাবে বারডেমে

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার দায়ে দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ লাখ টাকা করে জারিমানা করেছেন আপিল বিভাগ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের আইন বিভাগে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জন করে ছাত্র ভর্তি করার অনুমতি পায়। কিন্তু এর বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করায় তাদের এই জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আদেশে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের জরিমানার মোট ২০ লাখ টাকা রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে নিয়মিত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিটে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আসন্ন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ফরম পূরণের নির্দেশ দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আসন্ন বার কাউন্সিল পরীক্ষায় এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে বার কাউন্সিলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মশিউজ্জামান। অন্যদিকে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মাহমুদ শুনানি করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম, নাহিয়ান ইবনে সুবহান, মো. মশিউর রহমান রিয়াদ, সাইফুল আলম, মেহেদী হাসান জুয়েল প্রমুখ।
এর আগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আসন্ন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অভিযোগে দেশের প্রায় ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড না দিতে সিদ্ধান্ত জানায় বার কাউন্সিল। পরে বার কাউন্সিলের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ভুক্তভোগী প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী পৃথক রিট দায়ের করেন। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর পর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে বার কাউন্সিল থেকে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন মঞ্জুর করে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং আবেদনগুলোর ওপর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করে দেন। যার ধারাবাহিকতায় মামলাগুলোর আজ বুধবার আপিল বিভাগে শুনানি হয়।