দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের কমলা

Looks like you've blocked notifications!
পঞ্চগড় জেলায় এ বছর ৭৩ হেক্টর জমিতে কমলার চাষ হয়েছে। প্রায় সব বাগানেই ব্যাপক ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পঞ্চগড়ের কমলা দেশের অন্যান্য স্থানেও যাচ্ছে। ছবি : এনটিভি

কয়েক বছর আগেও বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কমলা আমদানি করা হতো। বর্তমানে এই হার কমেছে, যার অন্যতম কারণ দেশে কমলা চাষে ব্যাপক সাফল্য। গত এক দশকে পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শতাধিক কমলার বাগান গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এসব বাগানের উৎপাদিত কমলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শতাধিক বাগান গড়ে উঠেছে। চলতি বছর জেলায় ৭৩ হেক্টর জমিতে কমলার চাষ হয়েছে। প্রতিটি কমলার বাগানেই এখন কাঁচা-পাকা কমলা শোভা পাচ্ছে। এ বছর প্রায় সব বাগানেই ব্যাপক ফলন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা বাগানে এসে কমলা নিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় এক কমলাচাষি বলেন, প্রতিটি কমলাগাছে ১৫০ থেকে ২০০টি কমলা ধরে। তবে গাছ বড় হলে এই সংখ্যা আরো বাড়ে। সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে পঞ্চগড়ের কমলা সারা দেশেরই চাহিদা মেটাতে পারবে।

অপর এক কমলাচাষি জানান, ২০১০ সালে তিনি কমলার চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর এক হাজার ৬৫টি কমলাগাছ আছে। এর মধ্যে অধিকাংশ গাছেই এবার কমলা হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় সব কৃষকই যদি কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হন, তবে বিদেশ থেকে আর কমলা আনতে হবে না।

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কমলা বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার কর্মহীন মানুষ এসব বাগানে কাজ করে সংসার নির্বাহ করছেন। কমলা বাগানের এক শ্রমিক বলেন, তিনি পাঁচ বছর ধরে কমলা বাগানে কাজ করছেন। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মজুরি পান। তাঁর মতো অনেকেই কমলা বাগানে কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন।

স্থানীয় ফল বিক্রেতারা জানান, ভারত থেকে কমলা এলেও স্থানীয় কমলারও বেশ চাহিদা আছে। এ ছাড়া স্থানীয় কমলা তাঁরা বাগান বা গাছ থেকে পেড়ে আনার সুযোগ পাচ্ছেন।

পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম আশরাফ আলী বলেন, আগে শখের বশে কমলাগাছ লাগালেও বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলা বাগান গড়ে উঠছে। এতে চাষিরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে কমলা দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল হতে পারে।