চালককে হত্যা করে মাইক্রোবাস ছিনতাই

নওগাঁয় সাবেক সেনাসদস্যসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় চালক রহিদুল ইসলামকে হত্যার পর মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন। ছবি : এনটিভি

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ত্রিমোহনী নামক স্থানে চালক রহিদুল ইসলামকে হত্যার পর মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক সেনাসদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ আহত হন। 

পুলিশ জানায়, রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আজ শনিবার সকালে রানীনগর উপজেলার বেলঘরিয়া বাজার, রনজনিয়া, করজগ্রাম ও সিম্বা গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাবেক সেনাসদস্য খলিলুর রেজা মামুন (৩৯), ফিরোজ শেখ (২৫), একরাম সরদার (২৫), জিল্লুর রহমান (২২) ও রদিউল ইসলামকে (১৮) গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে প্রধান আসামি সাবেক সেনাসদস্য খলিলুর রেজা রানীনগর থানার এসআই শফিকুল ইসলামসহ দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পায়ে গুলি করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা মাইক্রোবাসের চালক রহিদুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, গত ৮ নভেম্বর রাতে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা বলে একটি হাইএস মাইক্রোবাস ভাড়া করেন সাবেক সেনাসদস্য খলিলুর রেজা। রাতে নয়জনের একটি সংঘবদ্ধ দল মাইক্রোবাসের চালক রহিদুল ইসলামের মাইক্রোবাসে যাত্রীবেশে ওঠেন। পরে রানীনগর উপজেলার ত্রিমোহনী নামক স্থানে মাইক্রোবাস নিয়ে রহিদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে যায় হত্যাকারীরা। ঘটনার একদিন পর রহিদুলের লাশ উদ্ধার ও তিনদিন পর লক্ষ্মীপুর থেকে ছিনতাই হওয়া মাইক্রোবাস উদ্ধার করে পুলিশ।