সিলেটে সাঈদ হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে আসামিদের আজ সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

সিলেটে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্য, পুলিশের সোর্স ও ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রশিদ আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

urgentPhoto

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন নগরীর বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, র‌্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব।

আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুমকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সব আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

চলতি বছরের ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে অপহরণ করা হয়। এর পর থেকে সাঈদকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের ঝরনারপাড় সবুজ-৩৭ নম্বর বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মামলার পর গত ১৭ নভেম্বর সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

গত বৃহস্পতিবার এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জনের মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর শিশু সাঈদের বাবা ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

সাঈদের বাবা আবদুল মতিন জানান, তিন আসামির ফাঁসির রায় হয়েছে। তিনি খুশি। সরকারের কাছে তাঁর দাবি, এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুল মালিক বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের প্রত্যাশিত রায় পেয়েছি। যে তিনজনের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথভাবে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করেছি, আদালত তাঁদের ফাঁসির রায় দিয়েছেন।’

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ আশরাফ জানান, রায়ে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন হয়নি। মামলার নথিতে গুরুত্বপুর্ণ ত্রুটি রয়েছে। এ রায় উচ্চ আদালতে গেলে তা বাতিল হবে বলে দাবি করেন তিনি।