বিএনপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত, বিকল্পও ঠিক
পৌরসভা নির্বাচন পেছানোর দাবি জানালেও এরই মধ্যে ২৩৬টি পৌরসভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। আর আজ ১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার থেকে মনোনীত প্রার্থীদের কাছে চিঠি পাঠানো শুরু করবে দলটি। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের আশঙ্কায় বিকল্প হিসেবে রাখা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীও। বিএনপির তিন জ্যেষ্ঠ নেতা এ কথা জানিয়েছেন।urgentPhoto
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপিসহ কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানানো হলেও কমিশন তা নাকচ করে দিয়েছে।
নির্বাচনের তসফিল ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী ও কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে সরগরম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়। নেতারা জানিয়েছেন, তৃণমূল থেকে আসা সাড়ে চারশরও বেশি প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে গত কয়েকদিনই ব্যস্ত সময় পার করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। কয়েকটি বাদে চূড়ান্ত করা হয়েছে সব পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলাহ আল নোমান বলেন, ‘চিঠির প্রস্তুতিকাল চলছে। ৩ তারিখ তো সময়, আমরা আশা করছি ১ থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মানে ৩ তারিখের আগেই সব জায়গায় আমাদের চিঠি পৌঁছে যাবে, যাকে আমরা নমিনেশন দেব।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা যাব এবং সেই নির্বাচনে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন আমাদের হতে হবে। এরপরও সহজে আমরা নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে আসব না।’
আর প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় বিবেচনায় আনা হবে সে বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইয়ে আমরা যেটা দেখেছি সেটা হলো- প্রথম কথা, ওভারঅল গ্রহণযোগ্যতা এলাকাতে। দ্বিতীয়ত, সংগঠনের সঙ্গে কতটা অ্যাকটিভ, সম্পৃক্ততা ছিল। তৃতীয়ত, এই যে একটা জেল-জলুম, নির্যাতনের সময় চলছে, আন্দোলন এটাতে তাদের ভূমিকা কী ছিল?’
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে সংশয়ে আছে বিএনপি, শঙ্কা আছে দলের পক্ষে কেবলমাত্র একজনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিধান নিয়েও। তবে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে বিকল্প চিন্তাও রয়েছে দলটির।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেন, ‘বিএনপির মনোনীত প্রার্থী একজনই হবে। কিন্তু আমরা আরেকজন স্ট্যান্ডবাই ক্যান্ডিডেট হিসেবেও দেব। তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছি না। একজনেরটা যদি বাতিল হয়ে যায় তখন ওকে দেব। তখন সে হয়তো ধানের শীষ পাবে না। তবে সাপোর্ট আমরা দিয়ে যেতে পারব।’
হান্নান শাহ বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে কিছু ক্যান্ডিডেট থাকতে পারে। সেটা নিয়ে তারা আমাদের বলবে, তবে সেটা খুব বড় হেডেক না আমাদের জন্য। কেউ যদি বার্গেনিং করে যে আমার ক্যান্ডিডেট ভালো তখন আমরা তা চেক করে দেখব। যদি ভালো হয় তবে আমরা ওদেরটা দেব।’
দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও এখনো জোটের শরিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। শরিকদের কয়টি পৌরসভায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে তা মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরই স্পষ্ট হবে বলে জানালেন বিএনপি নেতারা।