মেয়রের গুলিবর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা আহত
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের আড়পাড়ায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ও কালীগঞ্জ পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেনকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুমন কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি সংসদ সদস্যের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্থানীয় বাকুলিয়া গ্রামের সড়ক নির্মাণকাজের টেন্ডার নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টেন্ডারকে কেন্দ্র করে সকাল ৯টার দিকে বাকুলিয়া গ্রামে মেয়র ও সংসদ সদস্যের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আজ দুপুর ১২টার দিকে মেয়র বিজুর বাড়ি আড়পাড়ায় সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় সংসদ সদস্যের সর্মথকদের হামলা প্রতিহত করতে মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু তাঁর নিবন্ধন (লাইসেন্স) করা পিস্তল ও শটগান থেকে গুলি বর্ষণ করেন।
এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই সেখানে তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এদিকে এ ঘটনায় উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছে।
মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু বলেন, ‘আমার বাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে সংসদ সদস্যের সর্মথকরা। সে সময় আত্মরক্ষার জন্য আমি ফাঁকা গুলি ছুড়েছি।’ তবে গুলিতে কেউ আহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেন মেয়র।
অপরদিকে সংসদ সদস্যের সমর্থক কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম দাবি করেছেন, ‘মেয়র ইচ্ছে করেই গুলি চালিয়েছেন। তখন গুলিবিদ্ধ হন মোটরসাইকেল আরোহী ছাত্রলীগ নেতা সুমন।’
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মেয়র বিজুর আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।’