স্বতন্ত্র পরিচয়ে জামায়াত, বহিষ্কৃত মেয়র আবারও লড়বেন
সাতক্ষীরার দুই পৌরসভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক দলের পরিচয় না দিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
এদিকে কলারোয়া পৌরসভায় আবারও নির্বাচন করতে চান সদ্য বহিষ্কৃত মেয়র আক্তারুল ইসলাম। ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় আক্তারুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। কারাগারে থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এ বিএনপি নেতা।
সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নুরুল হুদা। তিনি বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। বর্তমানে পলাতক। স্বতন্ত্র পরিচয়ে তিনি নির্বাচন করতে চান বলে জানা গেছে।
এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন। জাতীয় পার্টির পক্ষে জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, বিএনপির পক্ষে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাজকিন আহমেদ চিশতি ও স্বতন্ত্র হিসেবে নাসিম ফারুক খান মিঠু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হত্যা মামলার আসামিরা প্রার্থী
সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিল পদপ্রার্থী আইনুল ইসলাম নান্টার নামে বিএনপি নেতা আমান হত্যা মামলা, মোমিনউল্লাহ মোহনের নামে আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হত্যাসহ কয়েকটি মামলা, মাসুম বিল্লাহ শাহীনের নামে কয়েকটি মামলা থাকলেও তাঁরা বর্তমানে জামিনে আছেন।
বহিষ্কৃত মেয়র নির্বাচনে
কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পৌর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আক্তারুল ইসলাম। তিনি এ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় চলতি বছর তিনি মেয়র পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
একই পৌরসভায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য ইমান আলী। তবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে তিনি নির্বাচন করতে চান বলে জানা যায়। পুলিশ দাবি করেছে, ইমান আলীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম লাল্টু, জাতীয় পার্টির পক্ষে জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম মনসুর আলী ও স্বতন্ত্র হিসেবে আরাফাত হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এই পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে ২৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে কলারোয়া পৌরসভায় সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১ ও ২-এ একজন করে নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে পারেন।