সিংগাইর পৌরসভায় নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়নি

Looks like you've blocked notifications!

হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাতিলের কপি না আসায় আজ বুধবারও মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌরসভার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়নি।

গত সোমবার হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বাতিল আদশের কপি দুদিনেও পৌঁছায়নি নির্বাচন কমিশনে। এ কারণে পৌরসভাটির নির্বাচনী দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অসম্পন্ন থাকায় এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা। তার পর ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ধরে রাখতে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।

গত ২১ জুন হাইকোর্ট সিংগাইর পৌরসভার বর্তমান মেয়র অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম ভূঁইয়া জয়ের ছোট ভাই মো. মোস্তাক আহম্মেদ ভূঁইয়া ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণের অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করেন।

এই রিটে গত ২৩ জুন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সিংগাইর পৌরসভার ভোটার তালিকা প্রণয়ন কেন আইন বহির্ভূত হবে না এবং কেন নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে না, এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন রুলের জবাব না দিয়ে গত ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। বিষয়টি আদালত অবমাননাকর উল্লেখ করে গত ২ ডিসেম্বর রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে নির্বাচনসহ সব কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।

গত ৩ ডিসেম্বর বর্তমান মেয়র পদে বিএনপির অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম জয়, আওয়ামী লীগের আবু নঈম বাশার, খেলাফতে মজলিসের মাওলানা আশরাফ আলী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) সাবেক মেয়র মীর মো. শাজাহান, স্বতন্ত্র মো. তোফাজ্জল হোসেন ও মো. হাফিজ উদ্দিন সিংগাইর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে সাত মহিলা কাউন্সিলর ও ৩৭ সাধারণ কাউন্সিলর।

গত শনিবার প্রথম দিনে সাধারণ কাউন্সিলরদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। ওই দিন রাতেই স্থগিতাদেশের কপি নির্বাচন কমিশনে গেলে পৌরসভারটির সব নির্বাচনী কর্মক্রম বন্ধ করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের জানান, সিংগাইর পৌরসভা নির্বাচনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের চেম্বার আদালতে ৩৪৬১/২০১৫ সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল করা হয়।

গত সোমবার বিকেল ৩টার দিকে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শুনানি শেষে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এ কে এম শহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চের আদেশটি ২১ জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ কারণে ওই পৌরসভায় নির্বাচনে কোনো বাধা থাকল না বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন জানান, শুধু সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচন স্থগিতাদেশ পাওয়ায় সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। তবে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাতিলের কপি এখনো নির্বাচন কমিশনে আসেনি। আদেশের কপি এলেই আবারো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।