বিলে বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ নিধন

Looks like you've blocked notifications!
জলমহাল বন্দোবস্ত নীতিমালা উপেক্ষা করে পাবনার সুজানগরের গাজনার বিলে সোঁতিজাল ও বাঁশের বাঁধ দিয়ে এভাবেই অবাধে মাছ নিধন করা হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

সরকারের জলমহাল বন্দোবস্ত নীতিমালা উপেক্ষা করে পাবনার সুজানগরের গাজনার বিলে সোঁতিজাল ও বাঁশের বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ নিধন করা হচ্ছে।

এতে একদিকে যেমন বিল মাছশূন্য হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় বিলপাড়ের জমিতে রবিশস্য আবাদ ব্যাহত হওয়ার অশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশাল ওই বিল একাধিক জলমহালে বিভক্ত করে উপজেলার ১২টি মৎস্যজীবী সমিতির মধ্যে বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে। বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী, উন্মুক্ত ওই জলাশয়ে কোনো প্রকার বাঁধ না দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে মাছ শিকার করতে হবে। একই সঙ্গে মা মাছ শিকারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

কিন্তু ইজারাদাররা কোনো প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিলের বাদাই, গমগড়া, বিলগণ্ডহস্তি, হরের জলাসহ ১০/১৫টি পয়েন্টে অবৈধ সোঁতিজাল ও বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে। যেখানে মা মাছও রয়েছে।

বিলপাড়ের বাসিন্দা কৃষক আবুল কাশেম, ডা. আবুল কালাম, আক্কাছ আলী ও তোফাজ্জল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, সোঁতিজাল ও বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার কারণে বিলপাড়ের হাজার হাজার একর জমিতে যথাসময়ে সরিষা, গম, পেঁয়াজসহ অন্যান্য রবিশস্য আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রবিশস্য আবাদের স্বার্থে বিল থেকে সব ধরনের বাঁধ অপসারণ করে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।