বরগুনায় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি

Looks like you've blocked notifications!
বরগুনা প্রেসক্লাবে পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : এনটিভি

বরগুনায় পৌরসভা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা। সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ আট দফা দাবি উল্লেখ করে বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁরা লিখিত আবেদনও করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মারধর এবং হুমকির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পছন্দমত প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে এ দাবি করেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহবুবুল হক ফারুক মোল্লা,  জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী এস এম নজরুল ইসলাম এবং পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সভাপতি,  বর্তমান মেয়র ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মল্লিক মো. আইউবসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নজরুল ইসলাম জানান,  এর আগের নির্বাচনগুলোতে একটি দুটি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হতো। এখন জেলার তিনটি পৌরসভার সব ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন। নির্বাচনের আগের দিনই ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ফলাফল ছিনিয়ে নেওয়ার আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন,  ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিকল্প নেই।’

নজরুল ইসলাম বলেন,  ‘এরই মধ্যে সরকারদলীয় প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. শাহাদাত হোসেনের মেয়ে,  জামাতা এবং কর্মী-সমর্থকদের ওপর নিষ্ঠুর হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁরা প্রতিনিয়ত ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে চলেছে। তাঁরা বিএনপির নেতা-কর্মীদেরও নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।’ ক্ষমতাসীন দলের কাছে নতজানু বর্তমান প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাঁরা সন্দিহান বলেও জানান তিনি।

মল্লিক মো. আইউব জানান,  গত তিনদিনে তাঁর এবং তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর তিন দফায় হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। বর্তমানে তিনি এক রকম অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।