১৩ দিন পর কিশোরীর লাশ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত
সাতক্ষীরায় ‘আত্মহত্যা’র ১৩ দিন পর সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শাহানারা খাতুনের (১৩) লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভিনের উপস্থিতিতে পুলিশ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।
গতকাল বুধবার জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মহিবুল হাসান ময়নাতদন্তের জন্য শাহানার লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। গত ১১ ডিসেম্বর ‘বিষপানে’ নিহত হওয়ার পর পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ দাফন করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁর বড় ভাই হাফিজুল ইসলাম গত সোমবার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মনিরা পারভিন বলেছেন, ‘শাহানারা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে না কি তাকে হত্যা করা হয়েছে- তা জানতেই কবর থেকে তাঁর লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
পুলিশের জব্দ একটি নোটবুকে শাহানারা দশানন মণ্ডল নামের প্রতিবেশী স্কুলছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা লিখেছে। ঘটনার পর থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র দশানন নিখোঁজ রয়েছে। তার সঙ্গে তার চাচাতো বোন জোসনাও নিখোঁজ রয়েছে। জোসনার পরিবারও বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। জোসনা প্রতিদিন শাহানারার সঙ্গে সাইকেলে করে স্কুলে যেত। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দশানন ও শাহানারার মধ্যে জোসনা চিঠি আনা-নেওয়া করত।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী কীটনাশক পানে শাহানারার মৃত্যু হলেও তার বাড়িতে কোনো বিষের বোতল বা অন্য কোনো আলামত খুঁজে পায়নি পুলিশ। এ ব্যাপারে শাহানারার বাবা শাহজাহান সরদার জানান, ঘরে বিষ থাকে না। শাহানারা কীভাবে বিষাক্ত ওষুধ পেল তা তাঁরা জানেন না।