রাউজানে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের বিশেষ সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীর ছেলে।
পৌরসভা নির্বাচনে রাউজান আওয়ামী লীগ থেকে শফিকুল ইসলাম বেবিকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী স্বতন্ত্র পদে নির্বাচনে অংশ নেন।
এর আগে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন নিয়েছিলেন সাইফুল। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ার দিন থেকে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
রাউজানে বিদ্রোহ ঠেকাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সভা করেন। আলোচনায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর, রাউজানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার বাবুল ও রাউজান পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সার্কিট হাউসের সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সার্কিট হাউসে সভা চলাকালে সাইফুল ইসলাম বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি। ওপরের চাপ থাকায় নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে হচ্ছে। তবে নির্বাচন করতে পারলে শতভাগ জয়ী হতাম।’
সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমি চাই না আমার কারণে আমার বাবাকে রাজনৈতিকভাবে সম্মানহানী করা হোক। বাবার সম্মান রক্ষায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে এসেছি।’ তিনি আরো জানান, নির্বাচন থেকে সরে আসা বা নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য বাবা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।
রাউজান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে দেবাশীষ পালিত, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কাজী আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং মীর মোহাম্মদ মনছুর আলম মোবাইল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।