নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভায় আজ বৃহস্পতিবার বিজয়ী ও পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি : এনটিভি

পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট চলাকালে ও পরবর্তী সহিংসতায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভায় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী পরবর্তী সংহিসতায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। দুই দফা সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে একজনকে।    

নিহত আবুল কাশেম (৫০) পৌর এলাকার মাইপরশ এলাকার বাসিন্দা। তিনি এলাকার আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

এর আগে গতকাল বুধবার ভোট চলাকালের চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।

এছাড়া বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে আহত হন নূরুল ইসলাম (৮০)। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামে।

এসব ঘটনা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।  

আজ দুপুরে এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মিয়া এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকালের নির্বাচনে মাইপরশ এলাকার আওয়ামী লীগের সমর্থক মো. শাহজাহান কাজল কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাশের ধুলিহর এলাকার বিএনপির সমর্থক জহিরুল ইসলাম ওয়াসিম।

নির্বাচনের জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে  বিজয়ী কাউন্সিলর মো. শাহজাহান কাজলের সমর্থক আবুল কাশেমসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। রাতেই কাশেমকে আশঙ্কজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার  সকালে তিনি মারা যান বলে জানান ওসি।

পুলিশ জানায়, আবুল কাশেমের মৃত্যুর সংবাদে বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা আজ সকাল ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধুলিহর এলাকায় প্রতিপক্ষ ওয়াসিমের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে তিনজনকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও তিনজনকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ২০টি বাড়ি ও নতুন বাজারে পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।