আ. লীগের দুই কাউন্সিল পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

ভৈরবে বিএনপির পরাজিত মেয়রসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
ভৈরব পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত পরাজিত মেয়র পদপ্রার্থী হাজি মো. শাহীন। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কালিপুরে বিজয়ী ও পরাজিত দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির পরাজিত মেয়র পদপ্রার্থী হাজি মো. শাহীনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ভৈরব পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী

মো. লোকমান হোসেন ভৈরব থানায় ওই মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজি মো. শাহীন এনটিভি অনলাইনের কাছে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমিসহ আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে কেন মামলাটি করা হলো বিষয়টি আমার বোধগম্য হয়নি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে ক্ষমতাসীনদের আরো একটি কূটকৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি। এমনসব হীন তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

গতকাল শুক্রবার সকালে ভৈরবের কালিপুর এলাকায় ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী কাউন্সিলর মুতি মিয়া ও পরাজিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শামীম আহমদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ ব্যক্তি আহত হয়। বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় পাঁচ-ছয়টি বসতঘর। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন সকাল ৮টার দিকে ভৈরব পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর মুতি মিয়ার সমর্থক মাসুম নির্বাচনে পরাজিত অপর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শামীমের এলাকায় গেলে তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ খবরে মুতির সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে উভয়পক্ষের পাঁচ ব্যক্তি আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে শামীমের সমর্থক মনে করে অপর পরাজিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. লোকমান হোসেনের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পাঁচ-ছয়টি বসত ঘর ভাঙচুর করে মুতির লোকজন।

এদিকে ওই ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগে লোকমানের  সমর্থক মো. শাহ আলম মিয়া বাদী হয়ে কাউন্সিলর মুতি মিয়াকে প্রধান করে আরো আটজনের বিরুদ্ধে পৃথক আরো একটি মামলা করেছেন।