পঞ্চগড়ে ভূমিকম্পে আতঙ্কে নয়, হৃদরোগে মারা গেছেন তহমিনা
পঞ্চগড়ে ভূমিকম্প আতঙ্কে তহমিনা (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর খবর প্রচার করে একটি অনলাইন। বাস্তবে ৭০ বছর বয়সী তহমিনা খাতুন নামের একজন ভূমিকম্পের আতঙ্কে নয়, মারা গেছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তহমিনার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন আনুসহ পরিবারের লোকজন। তথ্যহীন ভুল খবর প্রচার করায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা শহরের পূর্ব জালাসী এলাকার মৃত আবদুল কাদেরের স্ত্রী তহমিনা খাতুন আজ সোমবার বেলা ১১টায় বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন।
তাহমিনার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তহমিনা খাতুন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। আজ সকাল ৮টার দিকে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে নাশতা করেন তিনি। পরে পাতলা পায়খানা শুরু হলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। বেলা ১১টায় পরিবারের লোকজন তাঁকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই খবরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মাহবুব-উল-আলমের বরাত দেওয়া হলেও তিনি ভূমিকম্প আতঙ্কে মারা যাওয়া বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে শারীরিক দুর্বলতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে ওই নারীর মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ ভোর ৫টা ৬ মিনিটে পঞ্চগড়সহ সারা দেশে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
ভূমিকম্পে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রাজশাহীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজন, রাজধানীর পূর্ব জুরাইন এলাকায় স্ট্রোক করে একজন ও লালমনিরহাটে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।