কুষ্টিয়ায় আরো দুজনের লাশ দাফন
কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া দুজনের লাশ কুষ্টিয়ায় দাফন করা হয়েছে।
এ দুজন হলেন আনোয়ার হোসেন ও সাফায়েত হোসেন হাবি। ফাঁসি হওয়া অন্যজন রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুকে চুয়াডাঙ্গায় দাফন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল জানান, আজ শুক্রবার সকালে নিজ গ্রাম মিরপুর উপজেলার রাজনগরে দাফন করা হয় ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাফায়েত হোসেন হাবির মরদেহ।
এর আগে আজ ভোররাতে আরেক দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেনের মরদেহ অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গোরখোদকরা জানান, ১০-১২ আত্মীয়স্বজন ও কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের উপস্থিতিতে আনোয়ার হোসেনের লাশ দাফন করা হয়।
আনোয়ার হোসেনের নিজ গ্রাম মিরপুর উপজেলার কুর্শায় কোনো আত্মীয়স্বজন না থাকায় তাঁর লাশ কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে, কুষ্টিয়ায় নিজ গ্রামে রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর কোনো স্বজন না থাকায় তাঁকেও তাঁর গ্রামে দাফন করা হয়নি।
মিরপুর থানার ওসি কাজী জালাল জানান, নিজ গ্রামে কোনো আত্মীয়স্বজন না থাকায় ঝন্টুর লাশ চুয়াডাঙ্গার উজিরপুরে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে পৌনে ১২টার মধ্যে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ তিনজনের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। রাতেই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নির্মমভাবে নিহত হন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জন জাসদ নেতা।