গৃহবধূকে পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!

Looks like you've blocked notifications!

পঞ্চগড়ে মুক্তা (২৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বোদা থানার পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী মকলেছার রহমানকে আটক করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মুক্তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও মুক্তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরী ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ এলাকার মকলেছার রহমানের সঙ্গে একই উপজেলার বোদা পৌরসভার সর্দারপাড়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী মকলেছার মুক্তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। সোমবার গভীর রাতে মকলেছার রহমান মুক্তাকে মারপিট করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁর মুখে বিষাক্ত পদার্থ ঢেলে দেন। আজ সকালে মুক্তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে বলেন, তাঁর স্ত্রী বিষাক্ত পদার্থ পান করেছেন। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. চন্দন কুমার সেন মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মুক্তার বাবা হোসেন আলী সাংবাদিকদের জানান, জামাই মকলেছার সোমবার রাতে তাঁকে মোবাইল ফোনে ফোন করে জানান, মুক্তা বিষ খেয়েছেন। তাঁকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও তিনি সকালে মুক্তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হোসেন আলী অভিযোগ করেন, মকলেছার মুক্তাকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার ঘটনা সাজাচ্ছেন। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মকলেছারের বিচার দাবি করেন।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর কথা শুনে তিনি হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স পাঠান। এ সময় গৃহবধূর স্বামী মকলেছার রহমানকে আটক করা হয়।

গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বোদা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।