সালাহ উদ্দিনের বিষয়টা ক্লিয়ার নয় : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ কোথায় আছেন বা তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, তা পরিষ্কার নয়। তদন্তের পরই এ বিষয়ে স্পষ্ট বলা যাবে ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে সার্ক পুলিশ অফিসার ট্রেনিং কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘জলজ্যান্ত একজন মানুষ নেই। এ জন্যই আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, তাঁর ব্যাপারে আপনার কাছে কোনো ইনফরমেশন (তথ্য) আছে কিনা?’-এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে বিষয়টা ক্লিয়ার (পরিষ্কার) নয়। আমাদের পাশে দেখেন আইজিপি সাহেবও আছেন। তিনি এবং আমি দুজনই বলছি, বিষয়টা আমাদের কাছে ক্লিয়ার নয়। তিনি কোথায় গিয়েছেন কিংবা কেউ নিয়েছেন, বিষয়টি আমাদের কাছে এখনো ক্লিয়ার নয়। কাজেই একটু সময় লাগবে। তদন্ত করে দেখি বিষয়টা কী, জেনে নিই। তারপর আমরা জানাব।’
ওই বক্তব্যের পর আরেক সাংবাদিক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা ধরেছে কি না?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা তো বললাম, আমরা ক্লিয়ার নই এখনো।’
পরে আরেকজন সাংবাদিক বলেন, ‘আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে উনি আদৌ মিসিং হয়েছেন কি না, সে বিষয়টি আপনাদের কাছে স্পষ্ট নয়?’ উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে এখনো স্পষ্ট নয়। থ্যাংক ইউ।’
অন্য এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘পরিবার তো অভিযোগ করেছে, নিরাপত্তা বাহিনী তাঁকে (সালাহ উদ্দিন) উঠিয়ে নিয়ে গেছে।’ এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘যেহেতু অভিযোগ করছে, আমরা দেখছি। না হলে তো দেখার প্রশ্ন আসত না।’
মন্ত্রীর ওই উত্তরের পর একজন সাংবাদিক বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেছেন সালাহউদ্দিনের স্ত্রী যাতে আইজিপিসহ অনেকের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে হাজিরের একটি নির্দেশনা চেয়েছেন।’ এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো আপনারা জানেন। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি কাউকে অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করেন, কিংবা কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে অ্যারেস্ট করেন, তাহলে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে নিতে হয়-এটা তো জানা কথা।’
সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে বক্তব্যের পর খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখেন, সবাই আমরা আদালতের নির্দেশনায় চলি। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, আমাদের প্রশাসন সবাই আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। এর বাইরে আমরা এক পা-ও ফেলছি না। থ্যাংক ইউ।’
এর আগে তৃতীয় সার্ক পুলিশ অফিসার ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করা অফিসারদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় জঙ্গি দমনে এশিয়া অঞ্চল, বিশেষ করে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্য পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।