চাঁদপুরে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৯
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয়জন নিখোঁজ আছেন।
বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন নার্গিস (২৮), শাহজাদি (৬), ফাহিম হোসেন (দেড় বছর), আলেয়া বেগম (২৫), সিয়াম (৬), স্বপ্না (৩), মানিক (৪), রতন (২) ও আহমদউল্লাহ সিকদার (৪৪)।
চাঁদপুর হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালিউল্লাহ জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টায় এমভি রবিন নামের একটি ট্রলার চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীর তেলির মোড় এলাকা থেকে ঈশানবালায় যাচ্ছিল। ট্রলারটি তেলিরমোড় এলাকা অতিক্রম করে মাঝনদীতে যাওয়ার পর সকাল সাড়ে ৯টায় ঘন কুয়াশার কারণে একটি পণ্যবাহী জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অধিকাংশ ট্রলার যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনার শিকার নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালায়। রাতে উদ্ধার কাজ স্থগিত রেখে আবার কাল বুধবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ চালানো হবে।
এদিকে খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীরবিক্রম এমপি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক আবদুস সবুর মণ্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার, ডা. দীপু মনি এমপির বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূর হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সরওয়ার কামাল, হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালী উল্লাহ।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, যারা এই দুর্ঘটনায় মারা যাবে তাদের প্রত্যেক পরিবারকে লাশপ্রতি দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা চিকিৎসা ব্যয় দেওয়া হবে।