যুদ্ধাপরাধে জড়িত দল ও সংগঠনের বিচার হবে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের মাধ্যমে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের বিচার করা হবে। এই আইন সংশোধনের জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এই আইন সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে তাঁর সঙ্গে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাক্ষাৎ করে ১৬ দফা দাবি পেশ করে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীরের নেতৃত্বে অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুনসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ফেব্রুয়ারি মাসে যদি মন্ত্রিসভায় এই আইন সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় তাহলে কবে নাগাদ তা সংসদে পেশ করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই আমরা সংসদে উপস্থাপন করব।’
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ১৬ দফা দাবির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে এসব ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার অপরাধ আইন’ প্রণয়ন করতে হবে; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আল শামস, মুজাহিদ বাহিনীসহ পাকিস্তানি সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ রয়েছে তাঁদের বিচারের আওতায় আনা; ট্রাইব্যুনালে যেসব ব্যক্তি ও সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং হবে তাঁদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও নারীদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে; যেসব ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দিয়েছেন তাঁদের সুরক্ষায় একটি আইন করতে হবে।