টেংরাটিলায় উড়ল ড্রোন

Looks like you've blocked notifications!

সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ওপরে উড়ছে ড্রোন। উড়ে উড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করছে ওই ড্রোন।

গতকাল রোববার থেকে দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ত্রিমাত্রিক ছবিসহ উপাত্ত সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফলি হগ এলএলপির প্রযুক্তিবিদরা। প্রযুক্তিবিদ ডায়ানা ও ক্রিস্টিনা বিহারির নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের দল আজ সোমবার পর্যন্ত ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুজন প্রযুক্তিবিদ মাটি থেকে দূর নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির মাধ্যমে ড্রোনটি আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছেন। ড্রোনটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ থেকে ৩০০ ফুট উঁচু পর্যন্ত উড়ছে। প্রতি ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর পরিভ্রমণ শেষে মাটিতে নেমে আসছে ড্রোন।

প্রযুক্তিবিদ ক্রিস্টিনা বিহারি জানান, ড্রোন দিয়ে বাতাসে কী পরিমাণ গ্যাস ভেসে বেড়ায় ও কী পরিমাণ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে তা নির্ণয় করা হচ্ছে। এ ছাড়া পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত ও ছবি সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম অত্যাধুনিক ড্রোন দিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে।’

ড্রোন উড্ডয়নের সময় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উৎসুক শত শত জনতা আকাশে ড্রোন ওড়ার দৃশ্য উপভোগ করেন।

২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি রাত ১০টায় টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে প্রথম দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আগুনের তাপে ওই দিন গভীর রাতেই গ্যাসক্ষেত্রের একটি অংশে আগুন ২০০ থেকে ৩০০ ফুট ওঠানামা করে। পরে এক মাসেরও বেশি সময় জ্বলার পর আপনাআপনি নিভে আগুন।

এরপর দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণ ঘটে একই বছরের ২৪ জুন রাত ২টায়। এ দুই দফা অগ্নিকাণ্ডে গ্যাসক্ষেত্রের তিন বিসিক গ্যাস পুড়ে যায় এবং পাঁচ দশমিক ৮৯ থেকে কমপক্ষে ৫২ বিসিক গ্যাসের মজুদ ধ্বংস হওয়াসহ আশপাশের টেংরাটিলা, আজবপুর, গিরিশনগর, কৈয়াজুরি, টেংরাবাজার এবং শান্তিপুরের মানুষের ঘরবাড়ি, গাছগাছালি ও হাওরের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।