রাস্তা ভেঙে নদীতে, দুর্ভোগে মানুষ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/02/10/photo-1455076392.jpg)
মাত্র সাড়ে সাত কিলোমিটার রাস্তার অভাবে মংলার চিলা ইউনিয়নের সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্দশার যেন শেষ নেই। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন এলেই শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। অথচ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসকবলিত এই এলাকার মানুষের যাতায়াতসহ জীবন-জীবিকা মাটির এই রাস্তার ওপরই নির্ভরশীল। কিন্তু সেটিও দিন দিন নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মংলা উপজেলার দক্ষিণে সুন্দরবনসংলগ্ন চিলা ইউনিয়ন। নদীর তীর ঘেঁষে এ ইউনিয়নের কলাতলা, আমতলা, তেলীখালী, সুন্দরতলা, কোলাবাড়ী, কাটাখালী ও কলাবাড়ী গ্রামের অবস্থান।
স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুরঞ্জন মিস্ত্রী (৬০) ও সুনীতা মিস্ত্রী (৩৬) জানান, নদীতীরবর্তী এখানকার ৯০ শতাংশ বাসিন্দা পশুর নদ ও বনে মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। হতদরিদ্র এসব মানুষ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে কোনোমতে টিকে আছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি রাস্তার অপেক্ষা করছে এসব গ্রামের মানুষ। কিন্তু কেউ তাঁদের কথা রাখে না।
কলাতলা গ্রামের প্রফুল্ল মিস্ত্রী (৭৬) ও আবজাল (৫৭) জানান, বছরখানেক আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দেড় কিলোমিটার রাস্তায় ইট বিছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সেই ইট খসে পড়েছে। বর্ষা মৌসুম এলে এখানকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশার অন্ত থাকে না। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি সহ্য করতে হয়। এসব এলাকার মানুষকে কয়েক কিলোমিটার মাটির রাস্তা হেঁটে যেতে হয় একই ইউনিয়নের বৈদ্যমারী, জয়মণি ও চিলা বাজারে।
গৃহবধূ কমলা বেগম (৩৮) ও শেফালী অধিকারী ( ২৭) জানান, মাটির এ রাস্তায় কোনো রিকশা বা ভ্যান চলে না। কেউ অসুস্থ হলে অনেকটা টানাহেঁচড়া করে তাঁকে হাসপাতালে নিতে হয়।
এ ব্যাপারে চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাসেল বলেন, রাস্তাটি মেরামতে এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।