রানা প্লাজা মামলায় ২ জনের জামিন

Looks like you've blocked notifications!

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হত্যা মামলায় দুজন জামিন পেয়েছেন। আজ বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবেদন করলে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম শাহজাদী ফাতেমা তাঁদের জামিন দেন।

জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন কারখানার পরিদর্শক প্রকৌশলী ইউসুফ আলী ও প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম। রানা প্লাজার ধসের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর থেকে তাঁরা পলাতক ছিলেন।    

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ বাহরুল ইসলাম ছিলেন।

এর আগে গত সোমবার ফেব্রুয়ারি আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইমারত পরিদর্শক আওলাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠান। 

গত ২১ ডিসেম্বর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাভার থানায় আলাদা দুটি মামলা করা হয়। অবহেলাজনিত মৃত্যু চিহ্নিত করে পুলিশের একটি হত্যা মামলা, অন্য মামলাটি ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করায় রাজউক এর ইমারত আইনে দায়ের করে।

গত বছরের ১ জুন ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয় কৃষ্ণ কর রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষী করা হয়েছিল ৫৯৪ জনকে।

অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন ভবন মালিক সোহেল রানা, তাঁর বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কুলু খালেক ও মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র আলহাজ রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মাদ আলী খান, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, পোশাক কারখানা নিউওয়েভ বাটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বজলুস সামাদ আদনান, নিউওয়েভ স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুর রহমান তাপস, ইথার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ওরফে আনিসুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম, সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. সারোয়ার কামাল, আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. মধু, অনিল দাস, মো. শাহ আলম ওরফে মিঠু, মো. আবুল হাসান, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সাবেক উপপ্রধান পরিদর্শক মো. আব্দুস সামাদ, উপপ্রধান পরিদর্শক মো. জামশেদুর রহমান, উপপ্রধান পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, পরিদর্শক প্রকৌশল মো. ইউসুফ আলী, মো. শহিদুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক মো. আওলাদ হোসেন, ইথার টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস, মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, মো. আতাউর রহমান, মো. আবদুস সালাম, বিদ্যুৎ মিয়া, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জনি, রেজাউল ইসলাম, নান্টু কন্ট্রাকটার, মো. আবদুল হামিদ, আবদুল মজিদ, মো. আমিনুল ইসলাম, নয়ন মিয়া, মো. ইউসুফ আলী ও মাহবুবুল আলম।

আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন সোহেল রানা। সদ্য জামিনপ্রাপ্তরাসহ জামিনে রয়েছেন ১৬ জন এবং পলাতক রয়েছেন ২২ জন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। এ সময় ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। এ ঘটনায় এক হাজার ১৩৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। এই ভবনে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানা ছিল।