চরফ্যাশনে সুষ্ঠু পৌর নির্বাচন নিয়ে সংশয় আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের

Looks like you've blocked notifications!
ভোলার চরফ্যাশনে আজ বৃহস্পতিবার পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক জরুরি সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন খান। ছবি : এনটিভি

ভোলার চরফ্যাশনে পৌরসভা নির্বাচনের আর মাত্র চারদিন বাকি। এত দিন এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। এবার ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীরাও এই সংশয় প্রকাশ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় প্রশাসনের আইনশঙ্খলাবিষয়ক সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা এই সংশয় প্রকাশ করেছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক।

সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আব্দুল মতিন অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচন আসলেই কি সুষ্ঠু হবে? এখনই ভোটারদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে গিয়ে সিল মেরে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা।’

৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনে ব্যাপক জালভোট পড়ে। যা ঠেকানো সম্ভব হয় না। তাই ভোটার লিস্টের সঙ্গে ভোটারদের ছবি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

এ প্রসঙ্গে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন খান বলেন, ‘আপনারা ভোটারদের নিয়ে আসুন, ভোট দেওয়ানোর দায়িত্ব আমার। নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যা দরকার তাই করা হবে।’

চরফ্যাশন পৌরসভায় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ব্যাপক অনিয়ম ও সহিংসতায় মধ্য দিয়ে দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২০টি দল এবারের পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়। এতে আওয়ামী লীগের ২৩৪, বিএনপি ২২৩ ও জাতীয় পার্টি ৭৪ প্রার্থীসহ ৯৪৫ জন মেয়র পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।