বার্ন ইউনিটে রোগীদের বেশির ভাগই চট্টগ্রামের : সামন্ত লাল সেন

Looks like you've blocked notifications!

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের অবৈতনিক উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘দেশে প্রতিবছর ছয় লাখ মানুষ নানাভাবে দগ্ধ হয়। আর এদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের। চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কোনো বার্ন ইউনিট বা হাসপাতাল না থাকায় এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেশি।’

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আন্তর্জাতিক রেডক্রসের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডা. সামন্ত লাল সেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মাত্র ২৬টি শয্যা আছে। এতে নেই কোনো অস্ত্রোপচার কক্ষ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিউ)। অগ্নিকাণ্ডে আক্রান্তদের ২৪ ঘণ্টা ভালো চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আরো বলেন, ‘দুই মাসের মধ্যে চীন বা সৌদি আরবের সহযোগিতায় চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিট বা ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণের ইচ্ছা সরকারের আছে।’  

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শহিদুল গনি, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শফিউল আজম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের  প্রধান ডা. মৃণাল কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের পক্ষ থেকে মারাত্মক দগ্ধ ৫০ জন ও আংশিক দগ্ধ ২৫০ জনের ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী চমেক বার্ন ইউনিটকে দেওয়া হয়।