বরগুনায় বাসে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বরগুনায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বরগুনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ও এতে সহযোগিতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ মামলায় বাসের চালক মো. আক্তারুজ্জামান, চালকের সহকারী এস এম কাইউম এবং বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ জেড এম সালেহ ফারুকসহ এ পর্যন্ত মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
‘সাধারণত রাষ্ট্রায়ত্ত বাস কিংবা যেকোনো পরিবহন পুলিশ লাইনে নিরাপদে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগেও পরিবহনগুলো রাতে পুলিশ লাইনেই রাখা হতো। কিন্তু ঘটনার দিন রাতে কেন তারা পুলিশ লাইনে না রেখে ঘটনাস্থলে রেখেছিল, তা রহস্যজনক। তাই তদন্তের স্বার্থে বাসের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’, যোগ করেন ওসি রিয়াজ হোসেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা ছাড়াও এ মামলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এস এম আফজালুর রহমান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মাওলানা মো. মহিবুল্লাহ হারুন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান টিপন, আহসান হাবীব স্বপন ও বরগুনা পৌর কমিশনার ফারুক শিকদারের নাম রয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে বরগুনার পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকায় খুলনা-বরগুনা রুটের একটি বিআরটিসি (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-২১২২) বাস আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটির বেশির ভাগ অংশই পুড়ে যায়। অগ্নিসংযোগের সময় বাসটিতে চালকের সহকারী এস এম কাইয়ুম ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন টের পেয়ে তিনি বাসের জানালা দিয়ে বের হয়ে নিজেকে রক্ষা করেন।