রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যা মামলায় রেশমা দুই দিনের হেফাজতে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নাসরিন আখতার রেশমার দুই দিনের হেফাজত (রিমান্ড) মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক জয়ন্ত রানী রায় হেফাজত মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৭ মার্চ রেশমাকে রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল মজিদ সাতদিনের হেফাজতের আবেদন জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, রেশমাকে কাল মঙ্গলবার কারাগার থেকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে রেশমা মুখ খুললেই শিক্ষক লিলন হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন। পরে বিকেল ৪টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ছয়জন ও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আটক রয়েছেন।
গত ৬ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মেহেরচণ্ডী এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের সহকারী সেকশন অফিসার নাসরিন আখতার রেশমাকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যাপক শফিউল হত্যার ঘটনায় রেশমা গোয়েন্দা পুলিশকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
রেশমা শফিউল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আবদুস সামাদ পিন্টুর স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডের পর সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব দাবি করেছিল, রেশমার সঙ্গে অধ্যাপক শফিউলের ‘অসৌজন্যমূলক আচরণের’ কারণেই হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁর স্বামী পিন্টু।