ভোলায় আ.লীগ-বিএনপির মধ্যে নির্বাচনী সংঘর্ষ, অবরোধ

Looks like you've blocked notifications!
ভোলার সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি

ভোলার সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী কার্যালয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলার গুইংগারহাট এলাকায় ভোলা-চরফ্যাশন রাস্তার ওপর গাছ ফেলে অবরোধ করে।

পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাঢীরহাট ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমরউদ্দিন এলাকায় দুপক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছে।

উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. রাইসুল আলম বলেন, গুইংগারহাট থেকে সশস্ত্র অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে গজারিয়া এলাকার বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায়।

এ সময় নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। একই সঙ্গে বাইল্লারহাট, নতুন মসজিদসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় অন্তত ১০ জন সমর্থক আহত হন বলে দাবি করেন রাইসুল আলম।

অন্যদিকে একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনসুর আহমেদ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় তাঁর রাঢীরহাট বাজারের নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

পরে এ ঘটনার জের ধরে কমর উদ্দিন এলাকাসহ আশপাশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ওই এলাকায় তাঁর ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন মনসুর আহমেদ।

পরে খবর পেয়ে ভোলা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, হামলার প্রতিবাদে আজ সকাল ৯টায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনসুর আহমেদের সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোলা-চরফ্যাশন সড়ক অবরোধ করে রাখে প্রায় তিন ঘণ্টা। এর ফলে ভোলার সঙ্গে জেলার অন্যসব উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পরে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মীর খায়রুল কবির বলেন, ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। উভয় পক্ষের আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া রাস্তা থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।