মা প্রার্থী, ছেলে বিদ্রোহী, বাবার চাপ
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন মেহেদি হাসান বাবু। একই ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁরই মা তাসলিমা বেগম।
কচুয়ার রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়নে মা-ছেলের ভোটের লড়াই এখন সবার মুখে মুখে। মেহেদি হাসান অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন তার বাবা-মা। বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান।
মেহেদী হাসান বাবু বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে এলেও দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর দল মনোনয়ন দিয়েছে তাঁর মা তসলিমা বেগমকে।
বুধবার মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়নে এখন কেবল মা-ছেলেই প্রার্থী। ২ মার্চের মধ্যে মেহেদী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন তসলিমা বেগম।
মেহেদীর অভিযোগ, ১৫ বছর ধরে এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন তিনি। এ বছর তাঁকে মনোনয়নপত্র দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন তাঁর বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। এমনকি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ও বাধা দেওয়া হয়েছিল অভিযোগ করেন মেহেদী। এখন মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য তার দুই মেয়েকে জিম্মি করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ মেহেদীর।
অবশ্য ছেলের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেহেদীর মা বর্তমান চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম ও বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। তাঁরা বলেন, তাদের ছেলের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাটের ৭৪ ইউপির মধ্যে ১৯টিতে কেবল আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীরাই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। এ ছাড়া আরো পাঁচ থেকে ছয়টি ইউপিতেও প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। ৩২টি ইউপিতে বিএনপি কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রুহুল আমিন মল্লিক বলেছেন, মেহেদি হাসান বা অন্য কোনো প্রার্থী এ ধরনের কোনো অভিযোগ দেননি। এ ছাড়া প্রত্যাহারের শেষ সময়ের আগে বলা সম্ভব হচ্ছে না কতজন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।