পটুয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির মামলা

প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি জেলহাজতে

Looks like you've blocked notifications!
মিজানুর রহমান

পটুয়াখালীর বাউফলে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় প্রথম আলোর উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সকালে বাউফল উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তারেক শামস এ আদেশ দেন।

মিজানের স্ত্রী শারমিন সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ করার কারণে তাঁর স্বামীকে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রোষানলে পড়েই মিজানকে একটি সাজানো ঘটনায় জড়ানো হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরেশ কর্মকার দাবি করেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাউফলের কালাইয়া বন্দর অতিক্রম করার সময় মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়া না-দেওয়া নিয়ে কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আবদুল হালিম খান ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি মিজানের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মিজানের আঙুল ভেঙে যায় এবং হালিমের মাথায় জখম হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে সাংবাদিক মিজানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

ওসি জানান, নৌ-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পুলিশ সদস্য হালিমের করা মামলায় মিজানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মিজানের আইনজীবী মজিবর রহমান টোটন জানান, আজ সকালে মিজানকে বাউফল থানা থেকে বাউফল উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মিজানুর রহমানকে জামিন না দিয়ে বিচারক তারেক শামস তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।