আ.লীগের ৬২ জন ভোটের আগেই চেয়ারম্যান
প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৭৩২ ইউপির ৬২টিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন আজ রোববার জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওই ৬২ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে যেসব ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা, তার ৭০টিতেই বিএনপির কোনো চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র পড়েনি। দ্বিতীয় ধাপের ভোটের ৬৪৭টি ইউপির মধ্যেও ৫৮টিতে বিএনপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেই।
প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বাধার কারণে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রার্থী করতে বিএনপি লোক খুঁজে পাচ্ছে না।
তবে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ‘উপযুক্ত’ ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে সরকারের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টিরও অভিযোগ।
দলটির সভাপতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সম্প্রতি সংসদে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু তারা নির্বাচনে উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে পারছে না।’
‘গত পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগের রাতে ভোটের বাক্স ভর্তি করা, ভোট কাটা, বুথ দখল ইত্যাদি নানা অভিযোগ এসেছে। কিন্তু কমিশন কোনো অভিযোগের বিষয়ে কর্ণপাত করেনি।’
ইউপি নির্বাচনেও মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে হতাশা তৈরি হবে বলে সতর্ক করেন রাশেদ খান মেনন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়েও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কমিশন।
ইসির সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, একক চেয়ারম্যান প্রার্থীদের স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে কমিশনে তালিকা পাঠানো হয়েছে। কবে নাগাদ গেজেট প্রকাশ করা হবে, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম ধাপের ইউপি ভোটে চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ৩৫ জন প্রার্থী আছেন। সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যপদে লড়বেন প্রায় ৩০ হাজার প্রার্থী।