বিসিএসে মাৎস্যবিজ্ঞান ও প্রাণিবিদ্যা একত্রে করায় বাকৃবিতে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আজ রোববার মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। ছবি : এনটিভি

৩৭তম বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে উপসহকারী পরিচালক পদে মাৎস্যবিজ্ঞানের সঙ্গে প্রাণিবিদ্যা সংযুক্ত করায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মানববন্ধন করেছেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। 

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে তাঁরা ওই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। বেলা ১১টায় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সমবেত হন। মানববন্ধনে মৎস্য সেক্টরে প্রাণিবিদ্যার গ্রাজুয়েটদের একত্র করা মৎস্য খাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে তা প্রতিহতে অবিরাম দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিদরা।

মানববন্ধনে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে। আর এর একমাত্র দাবিদার মাৎস্যবিদরা। অথচ তাদের মান ক্ষুণ্ণ করে মৎস্য বিষয়ে যাদের সামান্য ধারণা নেই তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে। আমরা মাৎস্যবিদরা এ সিদ্ধান্তকে মৎস্য খাতকে ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। অনতিবিলম্বে মৎস্য ক্যাডারের উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে প্রাণিবিদ্যা বাদ না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিদরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘৩৭তম বিসিএস (মৎস্য) এ ক্যাডারে প্রাণিবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত দুঃখজনক। কারিগরি ক্যাডারে লোকবল নিয়োগে শুধু ওই সেক্টরের শিক্ষার্থীদেরই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করি এবং তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।’

উল্লেখ্য, ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৭তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপনে মৎস্য ক্যাডারের উপসহকারী পরিচালক পদে ৬৪টি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন। তবে ওই কারিগরি পদটিতে প্রথমবারের মতো মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের পাশাপাশি প্রাণিবিদ্যার গ্র্যাজুয়েটদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।