শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ হবে

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় বলেছেন, এখন শুধু দিনের বেলায় চলাচল করলেও আগামী এপ্রিলের মধ্যে সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আজ বুধবার দুপুরে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মংলায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সচিব।
অশোক মাধব রায় বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌচ্যানেলটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করা হয়েছে। এর ফলে এখন এ রুট দিয়ে বড় বড় নৌযান চলাচল করছে। খননের মাধ্যমে উত্তোলিত মাটি ও বালি মালদ্বীপ সরকার নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতে করে দেশ থেকে এখন বালু ও মাটি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
ওই সময় নৌপরিবহন সচিবের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, দীর্ঘ এক বছর ধরে খননকাজ চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটিকে পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়েছে। গত ছয় মাসে এ রুট দিয়ে ১৫ হাজারের বেশি নৌযান চলাচল করেছে। শিগগিরই এ পথ দিয়ে আবার স্টিমার সার্ভিসও চালু করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বলেন, চ্যানেলটির নাব্যতা ধরে রাখা, নদীর সংযোগ খাল উন্মুক্ত ও নদীর দুই পাড়ে টাইডাল বেসিন (নদী অববাহিকা) তৈরির জন্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
চ্যানেল পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতসহ স্থানীয় প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।