নাটোরে শিশু মুক্তি হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরের লালপুরে শিশু মোসাদ্দিকা খাতুন মুক্তি (৬) হত্যায় সাহারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় সাহারুলের মা পারুল বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ৬ নভেম্বর। ওই দিন লালপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মুকরুম আলীর মেয়ে মোসাদ্দিকা খাতুন মুক্তিকে পুকুর থেকে শালুক উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান একই গ্রামের সাহারুল ইসলাম। পরে মুক্তির কানে থাকা স্বর্ণের দুল নিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সাহারুল। এ সময় লাশ ঘরের ভেতর গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন তিনি।
পরে মুক্তির সন্ধানে তার পরিবার খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সাহারুলের ঘরের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মুক্তির বাবা মুকরুম আলী বাদী হয়ে সাহারুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নামে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাহারুলের বাবা আক্কেল আলী এবং মা পারুল বেগম। তবে সাহারুলের বাবা মৃত্যুবরণ করায় এ মামলা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়।
আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ দুপুরে মুক্তি হত্যার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এক নম্বর আসামি সাহারুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তাঁর মা পারুল বেগমকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এ সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল হাই বলেন, মুক্তির পরিবার ন্যায়সংগত বিচার পেয়েছে। আর যেন কেউ শিশুদের হত্যা করতে না পারে সে জন্য এ ধরনের রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।