ফিশপ্লেট খুলে ফেলায় মিরসরাইয়ে বগি লাইনচ্যুত

চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ, পাঁচ ট্রেনের যাত্রা বাতিল

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের আমবাড়িয়া এলাকায় নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত একটি বগি। ছবিটি ২ ফেব্রুয়ারি-২০১৫, সোমবার তোলা। ছবি : এনামুল হক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলায় গতকাল রোববার দিবাগত রাতে নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ এখনো বন্ধ আছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও চাঁদপুরগামী পাঁচটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মিজানুর রহমান যাত্রা বাতিলের তথ্য জানিয়েছেন। যেসব ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে সেগুলো হলো—ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, মহানগর গোধূলি, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস।

মিজানুর রহমানের বরাত দিয়ে এনটিভির স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আরিচ আহমেদ জানান, যেসব যাত্রী ট্রেনের টিকিট নিয়েছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার কারণে চট্টগ্রাম থেকে তূর্ণা নিশীথা দেরিতে ছেড়েছে। ট্রেনটি গতকাল রাত ১১টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ৩টায় ছেড়েছে। এখন সেটি সীতাকুণ্ড এলাকায় আটকা পড়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা মেইল ও বিজয় এক্সপ্রেস বিভিন্ন স্থানে আটকে আছে।

আমাদের সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শামসুল হক হায়দরী জানান, রোববার রাতে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া ও চিনকি আস্তানার মধ্যবর্তী আমবাড়িয়া এলাকায় প্রায় ২৫ ফুট রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ কারণে দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় ট্রেনের পাঁচ যাত্রী সামান্য আহত হন।

চট্টগ্রামের রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম থেকে দুটি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে রেল চলাচল কখন স্বাভাবিক হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা ফিরোজ ইফতেখারকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন বিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রকৌশলী (সংকেত) সৌমিক শাওন কবির ও বিভাগীয় প্রকৌশলী আবিদুর রহমান।