ঝিনাইদহে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার, বিস্ফোরক উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ছবি : এনটিভি

ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত নেতা ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নুর মুহাম্মদকে সাতক্ষীরা সদর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ঝিনাইদহের দিশারী পলিটেকনিকের বিজ্ঞানাগার থেকে বিপুল বিস্ফোরক, হাতবোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

 

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ খবর জানান পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন। গ্রেপ্তার হওয়া নুর মুহাম্মদ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির।

পুলিশ সুপার জানান, দীর্ঘদিন ধরে নুর মুহাম্মদ সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির মোহাদ্দেস আবদুল খালেকের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। এ খবর নিশ্চিত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এএসপি গোপীনাথ কানজি লাল, সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সাতক্ষীরার আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের আবেদের হাটগ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ঝিনাইদহ জেলা শহরের দিশারী পলিটেকনিকের বিজ্ঞানাগারে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভোর ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৪৬ কেজি বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক, ১৫টি হাতবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বিপুলসংখ্যক ইলেকট্রিক ডিভাইস ও জামায়াতের সাংগঠনিক বই জব্দ করা হয়।

বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য এসব সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে পুলিশ সুপার জানান।

এদিকে, পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, গত ২ মার্চ ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলা এলাকার একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ থেকে সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নুর মুহাম্মদকে। এ নিয়ে গত ৪ মার্চ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের দাবি নাকচ করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, এটা ছিল নুর মুহাম্মদের সাজানো নাটক।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আগে থেকে দুটি নাশকতার মামলা আছে। নতুন করে তাঁকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।