সোনাগাজী পৌরসভায় আ.লীগ জয়ী, বিএনপির বর্জন

Looks like you've blocked notifications!
ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খোকন। ছবি : এনটিভি

ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম খোকন জয়ী হয়েছেন। আর কেন্দ্র দখল ও অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থী জামাল উদ্দিন সেন্টু। তিনি পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

আজ রোববার ভোট গণণা শেষে সন্ধ্যা পৌন ৭টার দিকে সোনাগাজী উপজেলা অডিটোরিয়ামে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন। রফিকুল ইসলাম খোকন পেয়েছেন আট হাজার ৯৯৪টি ভোট। জামাল উদ্দিন সেন্টু পেয়েছেন ৮৫০ ভোট।

এদিকে জালভোট দেওয়ার অভিযোগে দুই নারীসহ ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় দুই নারী ও এক পুরুষকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় জামাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ভোট শুরুর পর থেকে ভোটকেন্দ্রগুলিতে বহিরাগতরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেয়। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।’ 

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খোকন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো কেন্দ্র দখল করিনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে অদ্যাবধি কোথাও একটা বাজি পর্যন্ত ফুটে নাই। এটি আপনারাও স্বীকার করবেন। এই সুন্দর পরিবেশে ভোট হওয়ার পরও উনি যদি অভিযোগ করেন! গতবারও আমি ওনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করছিলাম। আমি মাত্র ১৪টি ভোটে হেরে গিয়েছিলাম। গত পাঁচ বছরে সোনাগাজীর রাস্তা-ঘাটে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমি কখনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করি নাই। সোনাগাজীতে একটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপও হয়নি। কিন্তু ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পৌরবাসী বুঝতে পেরে যখনই ওনার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তখনই উনি নির্বাচন বর্জন করেছেন।’

সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে দুই মহিলাসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত  দুই নারী  ও এক পুরুষকে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।

এ পৌরসভা নির্বাচনে ১৪ হাজার ১৯০ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মেয়র পদে বিএনপির একক প্রার্থী হলেও সরকারি দলের মনোনীত একজন ছাড়াও তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী, জাতীয় পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন। গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকের রফিকুল ইসলাম খোকনকে সমর্থন দিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। এরই মধ্যে তিন নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একজনের দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এবং একজন প্রত্যাহার করায় এ ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর এবং একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।