নালিতাবাড়ীর ১২ ইউনিয়নই ঝুঁকিপূর্ণ
রাত পোহালেই শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট। আজ রোববার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে। ভোটের সব প্রস্তুতি শেষ। ভোট গ্রহণের শেষ পর্যায়ের ব্যস্ততায় রয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
নালিতাবাড়ীর ১২টি ইউনিয়নই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়।
ফলে এসব ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে কি না এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ভোটারদের মধ্যে। শঙ্কা আছে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান আজ সোমবার এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের গণ্ডগোল না হয়, এ জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ছয়টি অস্ত্রসহ ২০ জনের একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য থাকবে একটি মোবাইল টিম। প্রতি তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে থাকবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) স্ট্রাইকিং ফোর্স। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) দুটি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এর বাইরে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা ১২টি ইউনিয়নের ১১১টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে প্রস্তুতি নিয়েছি।’
এদিকে ভোটকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার দিবাগত রাতেও সংঘাত হয়েছে নালিতাবাড়ীর বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে। ছোটখাটো সংঘর্ষ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বিশেষ করে রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড়, পোড়াগাঁও, নন্নী, রাজনগর, কলসপাড় এই ছয়টি ইউনিয়নে গত কয়েকদিনে একাধিক সংঘর্ষ, নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আর এসব ঘটনা মূলত শাসক দল আওয়ামী লীগ মনোনীত ও দলটির ‘বিদ্রোহী প্রার্থীর’ সমর্থকদের মধ্যেই ঘটছে।
গতকাল রোববারও রাজনগর ও বাঘবেড় ইউনিয়নে ছোটখাটো সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে।