ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

Looks like you've blocked notifications!

এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল, প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট কারচুপির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও আশুগঞ্জে নির্বাচন বর্জন করেছেন ১০ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। 

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিষ্ণুরামপুরে বিএনপির কার্যালয়ে সাবেক সংসদ সদস্য এস এ খালেক সংবাদ সম্মেলন করে ৬ ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে এস এ খালেক অভিযোগ করে বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট কারচুপি করেছে। এতে প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা। তাঁরা হলেন ফরিদাবাদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ছালাউদ্দিন, তেজখালীর আবদুর রাজ্জাক, ছলিমাবাদের মো. বিল্লাল হোসেন, দরিদাকান্দির আবদুল করিম, রূপসদীর দেলোয়ার হোসেন ও মানিকপুরে ফজলুল হক।

তবে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আগেই  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়।

এ ছাড়া আশুগঞ্জেও কারচুপির ও অনিয়মের অভিযোগে সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ চারজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। এর মধ্যে দুর্গাপুরে বিএনপির প্রার্থী মিজান খন্দকার, তারুয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বাদল সাদী, আড়াইসিধায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কামরুল হাসান মোবারক ও তালশহরে বিএনপির প্রার্থী গোলাম নবী হামদু নির্বাচন বর্জন করেন। 

সকাল ১০টায় আড়াইসিধায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল হাসান মোবারক কারচুপির অভিযোগ করে গণমাধ্যমের কাছে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপি করে।